বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ঘটনা, বিশেষ করে হত্যাকাণ্ড ও হত্যাচেষ্টা, নিয়ে এখন পর্যন্ত ১,৪৯৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। এসব মামলায় গণআসামি করার পেছনে চাঁদাবাজি ও পূর্ব শত্রুতা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, জমিজমা দখলসহ বিভিন্ন কারণকে দায়ী করা হচ্ছে।
পুলিশ সদরদপ্তর সাম্প্রতিক নির্দেশনা দিয়েছে যে, কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশেষ করে, মিরপুর থানায় সম্প্রতি একটি হত্যা মামলায় ৪০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং ঢাকার ভাটারা থানায় ১৭ জন অভিনয় শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ২৮৩ জন আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নামও রয়েছে।
মামলার এজাহার এবং গণআসামি: চাঁদাবাজির ইঙ্গিত?
পুলিশের সাবেক আইজি বলেন, “এই ধরনের গণমামলা আগেও হয়েছে, তবে এবার তার তুলনায় অবস্থা অনেক বেশি গুরুতর। অনেক নিরীহ ব্যক্তিকে আসামি করা হচ্ছে, এবং একধরনের ব্যবসায়িক চক্র এসব মামলার মাধ্যমে অর্থ আদায় করছে।”
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)ও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এই ধরনের গায়েবি মামলার মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি করা হচ্ছে।
এতকিছুর পর, পুলিশ সদরদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, “এগিয়ে আসা মামলাগুলোর ওপর পুলিশের নজর রয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিটি মামলার বিচার করব।”
চাঁদাবাজি ও পূর্ব শত্রুতা: চক্রের অপতৎপরতা
ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের মতে, গণমামলার পেছনে চাঁদাবাজি একটি বড় কারণ হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, মামলার একটি সাধারণ ড্রাফট তৈরি করে পরবর্তীতে আসামিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, প্রকৃত মামলাগুলোও গুরুত্ব হারিয়ে যাবে এবং সাধারণ মানুষ আরও বেশি হয়রানির শিকার হবে।
Discover more from TV TODAY LIVE
Subscribe to get the latest posts sent to your email.