শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক দেশের একের পর এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা আসছে।
এখন পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগাম, জগন্নাথ, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, যবিপ্রবি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার সংবাদ পাওয়া গেছে। আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার খবর আসছে।
গতকাল দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় দেশের সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজসহ সব কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পর এবার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৮টি বিভাগীয় শহরের সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভুক্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শ্রেণি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।