হাসান আলী-টিভি টুডে-
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস মুসলিম উম্মাহ এবং বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। তিনি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নাহ মেনে জীবন পরিচালনার তৌফিক দান করুন, যাতে আমরা দেশ, জাতি এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল তথা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি দিন। এই দিনটি বিশ্বমানবতার জন্য শান্তি ও মুক্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিফলিত হয়।
মহান আল্লাহ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে “রাহমাতুল্লিল আলামিন” হিসেবে পাঠিয়েছেন—সমগ্র বিশ্বের জন্য তিনি রহমত। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে পাঠিয়েছি” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। নবী করিম (সা.) এসেছিলেন তাওহিদের বাণী নিয়ে, আর তিনি সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবজাতির মুক্তি ও শান্তির বার্তা প্রচার করেছেন।
ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, মহানবী (সা.) মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর জীবনাচরণ এবং সুন্নাহর মাধ্যমে সর্বকালের মানুষের জন্য অনুপম আদর্শ রেখে গেছেন। আজকের দ্বন্দ্ব ও সংঘাতপূর্ণ বিশ্বে তাঁর শিক্ষাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করলেই শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।